ইউক্রেনের মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন মন্ত্রীসহ অন্তত ছয় কর্মকর্তা মঙ্গলবার তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের এক সহযোগীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল সরকারে বড় ধরনের রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়ার পর তারা পদত্যাগ করলেন।
কিয়েভে প্রতিদিন রুশ বোমাবর্ষণসহ ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ায় এবং ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর আক্রমণের আড়াই বছরে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়াতে এই রদবদল করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন ‘সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল’ পার্টির সংসদীয় দলের প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এই সপ্তাহে একটি বড় ধরণের রদবদল আশা করা যেতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মীদের ৫০ শতাংশের বেশি পরিবর্তন করা হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘আগামীকাল আমাদের বরখাস্তের দিন এবং তার পরের দিন হবে নিয়োগ প্রদানের দিন।’
ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ইতোমধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রী, বিচার মন্ত্রী এবং পরিবেশ সুরক্ষা মন্ত্রী ও রয়েছেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি তহবিলের প্রধান ভিটালি কোভাল এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক ও ওলগা স্টেফানিশিনা পদত্যাগ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের ডিক্রি অনুসারে জেলেনস্কির অফিসের উপ-প্রধান এবং প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সহযোগীদের একজন রোস্টিস্লাভ শুর্মাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেনস্কি বেশ কয়েকটি রদবদলের আদেশ দিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে একাধিক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে বরখাস্ত করেছেন এবং সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্রে বিপত্তির মধ্যে শীর্ষ কমান্ডারকে প্রতিস্থাপন করেছেন।
ইউক্রেনীয় নেতার প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। মে মাসে তার মেয়াদ শেষ হয় কিন্তু তিনি সামরিক আইনের অধীনে প্রেসিডেন্টের পদে রয়ে গেছেন।