ক্যারিয়ারের শুরুটা করেছিলেন বোলিং অলরাউন্ডার হয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন, ব্যাট কিংবা বল তার কাছে অসম্ভব নয় কিছুই। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রাইসিস ম্যানের ভূমিকাতে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা।
প্রথম টেস্টেও মিরাজ ছিলেন অনবদ্য। যদিও তা ঢাকা পড়ে যায় মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের আরেকটি মাইলফলকের সামনে। তবে ধারাবাহিকতার পুরস্কার মিরাজ পেয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতে। চাপের মুখে থেকেও দারুণ ক্রিকেট খেলেই হয়েছেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ক্রিকেট নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আসলে কাজটা একদমই সহজ নয়। আমি সবসময় ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। আমি চিন্তা করতে চেয়েছি ইতিবাচকভাবে, কখনও নেতিবাচকভাবে চিন্তা করিনি। নেতিবাচক চিন্তা করলে হয়ত এখানে ভালো করতে পারতাম। আমি চেষ্টা করেছি সবসময় আত্মবিশ্বাসী থাকতে।’
প্রথম ইনিংসের দুর্দান্ত ইনিংস নিয়েও কথা বলেছেন মিরাজ, ‘আলহামদুলিল্লাহ। শান্ত অনেক কথা বলেছে। (২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর) কিছুটা নার্ভাস ছিলাম আমি। আমি লিটনের (দাস) সাথে কথা বলছিলাম। সে আমাকে বলেছে ইতিবাচক খেলতে। আমাদের হাতে ৬ উইকেটের ব্যাপারটি নেই। কিছু রান তোলার চেষ্টা করতে হবে, আমরা কামব্যাক করতে পারব।’
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও কথা বলেছেন লিটন ও শান্তর দুর্দান্ত জুটি প্রসঙ্গে, ‘আসলে বিশ্বাস রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রতিটি প্লেয়ারের বিশ্বাস ছিল আমরা যেকোনো সময় কামব্যাক করতে পারি। মিরাজ আটে ব্যাট করে। ফলে এখানে ব্যাটিংয়ে গভীরতা ছিল আমাদের। ফলে আমাদের বিশ্বাস ছিল সেট হলে এখানে বড় রান করা সম্ভব। প্রতিটি প্লেয়ার বিশ্বাস করেছে আমরা যেকোনো সময় কামব্যাক করতে পারি।’
শান্ত আরও বলেন, ‘(২৬ রানে) ৬ উইকেট হারানোর পর আমাদের বিশ্বাস ছিল নিজেদের উপর। (মেহেদী হাসান) মিরাজ ব্যাট করতে যাওয়ার সময় একটি কথা বলেছিল। সে বলেছিল, সে এবং লিটন দলের জন্য কাজটা করে দিতে পারবে। তারা এটি আগেও করেছে। এটা দারুণ ব্যাপার। যে বিশ্বাসটা তাদের মধ্যে ছিল, ড্রেসিংরুমে যে বিশ্বাস ছিল আমাদের উপর। এবার অনেক ভিন্ন ছিল। আমি মিথ্যা বলব না, তখন অনেক পিছিয়ে ছিলাম আমরা, কিছুটা নার্ভাসও ছিলাম। তবে মিরাজ এবং লিটন (দাস) যেভাবে ব্যাট করল ১০-১৫ ওভার পরে আমরা ভালো জায়গায় চলে যাই। বিশ্বাস ছিল তারা আমাদের ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে।’