প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আজ এখানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আমরা শিল্পকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যেতে চাই’। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে আশার নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্যবসায়ী নেতারা পোশাক ও ওষুধ খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার বিষয় তুলে ধরে বলেন, তারা সন্দেহ করেন দেশের বাইরে বসবাসকারী গ্রুপসহ বহিরাগতদের প্ররোচণায় কারখানাগুলোতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কল-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে বলেন, তার সরকার কারখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব শিল্পকে সুরক্ষা দেয়া।
তিনি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও অর্ডার পাওয়ার প্রয়াসে শ্রম সংস্কার করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার বড় সুযোগ আছে। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও মানদন্ডে উন্নীত করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সারা বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রধান নির্বাহীদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এবং আরও অর্ডার দিতে আগ্রহী।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ও মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।