পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কৃষিতে টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি প্রচলনের ওপর গুরুতারোপ করেছেন।
তিনি আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ৮ম আইইউসিএন আঞ্চলিক সংরক্ষণ ফোরামে “ট্রান্সফর্মিং এগ্রি-ফুড সিস্টেমস : ইন্টিগ্রেশন অব এনভায়রনমেন্টাল পলিসিস ইন টু এগ্রি-ফুড সিস্টেমস-চ্যালেঞ্জস অ্যান্ড অপরচুনিটিস” শীর্ষক একটি সেশনে বক্তব্যে এই গুরুত্বারোপ করেন।
এতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা পরিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জৈব খাদ্য উৎপাদন, কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে হ্রাস, স্থানীয় কৃষি ও বননির্ভর নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা এবং কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় পরিবেশগত নীতিমালা সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
কৃষি পদ্ধতিগুলোকে পরিবেশগত টেকসইতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাগুলি পরিবেশগত অবক্ষয়ের প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি, যার মধ্যে রয়েছে বন উজাড়, মাটির অবক্ষয়, এবং পানির সংকট।
তিনি আরো বলেন, কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় পরিবেশগত নীতিমালা সংযোজন করা কেবল প্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি একটি দায়িত্ব যা আমাদের পালন করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলি বড়, কিন্তু টেকসই ভবিষ্যত তৈরির সুযোগ আরও বেশি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো দেশের বিশেষ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েও আলোচনা করেন, যেখানে কৃষি পদ্ধতি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
এই সমস্যাগুলির কার্যকর সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী নীতিগত সমাধান এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
আইইউসিএন মহাপরিচালকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একটি পৃথক বৈঠকে বন সংরক্ষণে বাংলাদেশে একটি প্রগতিশীল আইনি কাঠামো তৈরি, এতিম হাতির জন্য একটি অভয়ারণ্য স্থাপন এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশগত অখ-তা পুনরুদ্ধারের জন্য সমর্থনের অনুরোধ জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।