সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে বিএনপি নেতার গোপন বৈঠকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সলঙ্গা থানার রামারচর এলাকার রয়েল রুপালি হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে ওই বৈঠকটি হয় বলে জানা গেছে। বৈঠকে বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমানের সঙ্গে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রশিদ, থানা যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফি কামাল, আ.লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির একটি অংশের অভিযোগ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে নাম বাদ দিতে মতিয়ার রহমান সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
আবার বিএনপির কেউ কেউ বলেছেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। আব্দুর রশিদ একজন অসুস্থ্য মানুষ। আসলে কী নিয়ে বৈঠকটা হয়েছে-সেটা পরিষ্কার নয়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফি কামাল বলেছেন, মতিয়ার রহমানের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই রয়েল রুপালী হোটেলে বসেছিলাম। সেখানে মামলা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, আমি জেল থেকে বের হয়েছি। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদের ভাইয়েরা জেলে আছেন। আব্দুর রশিদ একজন পঙ্গু মানুষ। আমি রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলাম তিনি ডাক দিয়ে নামিয়ে বললেন চাচা আমার ভাইয়েরা কেমন আছেন। আমি তাকে বললাম তারা ভালই আছে। এই ছিল তার সঙ্গে আলোচনার বিষয়। এটা নিয়ে এত তোলপাড় হচ্ছে কেন বুঝলাম না।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক সম্পর্ক থাকতেই পারে। বৈঠকের ভিডিওটি আমি দেখেছি। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।