বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সাবধান স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ। শহীদ আবু সাইদ-মুগ্ধর যে যুদ্ধ, সে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলে যুদ্ধ শেষ করতে হবে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শরীয়তপুর পৌর অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শরীয়তপুরের নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে যুদ্ধ বলা যাবে না। কারণ যুদ্ধ মানে দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষ। স্বৈরাচার সরকার ছাত্র-জনতাকে আক্রমণ করে ছত্রভঙ্গ করতে চেয়েছে। ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার বাহিনীকে পাল্টা আক্রমণ করেনি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বুক পেতে দিয়ে প্রতিহত করেছে, আর স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হয়েছে। অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে যে বিজয় এসেছে, সেই বিজয়কে ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আজকে এই সময়ে বিজয়কে চূড়ান্তভাবে সফল করতে প্রধান লক্ষ্য হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার, ইসলামী মূল্যবোধ, এদেশের মানুষের সম্মান রক্ষা করা। তাহলেই চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে। যদি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে না পারি, তাহলে কিন্তু কপালে আরো কঠিনতর দুঃখ আছে। সুতরাং সবাইকে সজাগ করে দিয়ে বলতে চাই, আসুন আমাদের ছাত্র-তরুণরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে যে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, সেই স্বৈরাচার যেন আবার ফিরে আসতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করি।
হামিদুর রহমান আযাদ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়া শরীয়তপুরের ৭ নিহত পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে উপহার দেন।
জামায়াতে ইসলামী শরীয়তপুর জেলার আয়োজিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জেলা আমির মাওলানা আব্দুর রব হাশেমীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুরের সাবেক আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালুসহ বিভিন্ন স্তরের জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।