অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিষয়ে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাকিবকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বিসিবি জানিয়েছে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাউন্ডারি মেরে টাইগারদের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব।
অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তকে ফোন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর জাতীয় দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দুই-একদিনের মধ্যেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যে যাওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকবেন না সাকিব।
গতকাল মধ্যরাতে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ঐ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, সাকিবের ব্যাপারটা ভিন্ন। সংবর্ধনার সময় যদি প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যায় তবে সকল খেলোয়াড়ই সাকিবের পাশে থাকবে।’
গত সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব। তবে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হবার সময় দেশের বাইরে ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে মেজর ক্রিকেট লিগ এবং কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার পর সরাসরি পাকিস্তানে মাটিতে দলের সাথে যোগ দেন সাকিব। প্রথম টেস্ট চলাকালীন তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দারুন পারফরমেন্স করেন সাকিব। এজন্য অধিনায়ক শান্তর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সাকিব।
শান্ত বলেন, ‘সকল খেলোয়াড়ই সাকিবের পাশে আছে। আমরা সবাই জানি খেলার জন্য সে কতটা নিবেদিতপ্রাণ। সে খেলার জন্য পাগল এবং সবসময় দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করে।’