ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যেকোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র-শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ছাত্রসংসদ চালুর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর আগে, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি (ভাইস চ্যান্সেলর) অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে দুই দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারিত্ব, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হয় সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার মানে হয় না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সাথে কালক্ষেপণ না করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।’
এর আগে, দুই দফা দাবি জানিয়ে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দেশ থেকে একটি রক্তচোষা, ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাকে অভিভাবক হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। এই দেশে একটি সরকার স্বৈরাচারী হয়ে উঠে কয়েকটি সিস্টেমের মাধ্যমে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলীয় ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি অন্যতম, যেখানে বার-বার এই সিস্টেমের পুঁজি করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রলীগ যে সিস্টেম চালু করে রেখেছিল, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মরিয়া হয়ে আছে।’