কাপ্তাই হ্রদে আশাব্যঞ্জক মাছ আহরণ হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জেলেদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
দীর্ঘ চারমাস সাতদিন পর গত ১ থেকে সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়। গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহজুড়ে এই হ্রদ থেকে প্রায় ৪৩৪ টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকার মতো। আহরিত মাছের বাজার মুল্য প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা বলে বাসসকে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া।
রাঙ্গামাটির জেলা শহরের প্রধান বিপণন কেন্দ্রসহ জেলার কাপ্তাই, মারিশ্যা, মাইনী ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির উপকেন্দ্রে ভোর থেকেই মাছ নিয়ে আসতে শুরু করেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্য বিপণন কেন্দ্রের পল্টুনগুলোতে মাছ অবতরণ করা হয় সকাল ছয়টা থেকে চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। আহরিত মাছ বিপণন কেন্দ্রের পল্টুনে শুল্কহার আদায় শেষে বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে পরিবহনের জন্য তোলা হয়। কাপ্তাই হ্রদের প্রক্রিয়াজাত এসব মাছ দেশেরে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়–য়া বাসসকে জানান, কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণের প্রথমদিন থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত হ্রদে মোটামুটি আশাব্যঞ্জক মাছ আহরণ করা হয়েছে এবং এতে আমরা সাধারণ মৎস্যব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা খুশি। তবে হ্রদে এবার পানি বেশী থাকায় বড় মাছের চেয়ে ছোট মাছ কাচকি, চাপিলাসহ অন্যান্য মাছের আধিক্যই বেশী বলে জানান এই মৎস্য ব্যবসায়ী।
রাঙ্গামাটি মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার পর থেকে সাধারণ ব্যবসায়ী ও জেলেদের মধ্যে কর্মব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। গতবছরের চেয়ে এবার কাপ্তাই হ্রদের কেচকি ও চাপিলাসহ ছোট-ছোট মাছই বেশী পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বাসসকে জানান, গত ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদ থেকে প্রায় ৪৩৪ টন মাছ আহরণ করা হয়েছে এবং এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকার মতো। এসব আহরিত মাছের বাজার মুল্য প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা বলে জানান তিনি। চলতি বছর মাছের আহরণ ও রাজস্ব আদায় গতবছরের তুলনায় বাড়তে পারে বলে আশা এই কর্মকর্তার।