ব্যাকভলি এক সতীর্থের মাথা হয়ে যখন ওয়াঙচুক কিগার কাছে আসে, তখন তপু বর্মণ আক্রমণ প্রতিহত করার চেয়ে রেফারির দৃষ্টি কাড়তেই মনোযোগী ছিলেন। সুযোগ কাজে লাগাতে একদম ভুল করেননি ভুটানি ফরোয়ার্ড। দারুণ ভলিতে করা গোলে বাংলাদেশকে হারাল দেশটি।
২০১৬ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভুটানের কাছে হেরেছিল লাল-সবুজরা। আরেকটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে ফের হারল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোলে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।
দুই পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান হাভিয়ের ক্যাবরেরা—প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়া ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনের জায়গায় শাহরিয়ার ইমন এবং ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ঈসা ফয়সালকে খেলানো হয়।
বাংলাদেশের মাঝমাঠ ছিল ছন্দহীন, অপরিকল্পিত ছিল আক্রমণভাগ। সুযোগ নিয়ে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করছিল ভুটান। এর পরও শুরুর দিকে গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে বড় পরীক্ষা দিতে হয়নি। ৩৩ মিনিটে প্রথম বড় পরীক্ষায় অবশ্য ভালোভাবেই পাস করেন মিতুল—ক্ষিপ্রগতিতে মার্কারদের ছিটকে ফেলা তিসেলত্রিম নামগাইলের শট ফিস্ট করেছেন গত মৌসুমে শেখ রাসেলে খেলা গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের শেষদিকে সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। মিডফিল্ডার সোহেল রানার লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে অফসাইডের ফাঁদ এড়ানো শাহরিয়ার ইমন অবশ্য বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি; মোহামেডান থেকে আবাহনীতে নাম লেখানো ফরোয়ার্ড শট নিয়েছিলেন বটে, ভুটানের গোলরক্ষক ধেনদুপ তিসেরাংয়ের গায়ে লেগে সেটা বাইরে গেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে শাহরিয়ার ইমনকে তুলে তরুণ রাব্বি হোসেন রাহুলকে মাঠে পাঠান হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ঈসা ফয়সালকে তুলে মিরাজুল ইসলামকে মাঠে নামিয়ে আক্রমণভাগের শক্তি বাড়ান এ কোচ।
জাতীয় দলের জার্সিতে এ ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হলো অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়া মিরাজুল ইসলামের। অভিষেকটা হতাশার অধ্যায় হয়ে রইল যোগ করা সময়ে হজম করা গোলের হারে।
তার আগে ৬৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে ইয়েশ দর্জির কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিংমা ওয়াংচুকের দুর্বল প্রচেষ্টাও বাংলাদেশ গোলরক্ষককে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি, বল সহজেই গ্রিপে নেন মিতুল।
৭৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সে রাব্বি হোসেন রাহুল বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন ভুটান গোলরক্ষক। আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ সিরিজ খেলে বাংলাদেশ।