বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি সংগঠন ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ আত্মপ্রকাশ করেছে। এই কমিটির মূল লক্ষ্য হলো দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন আনা সম্ভব।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কমিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার আহবান জানানো হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিকতা: জাতীয় নাগরিক কমিটির গঠনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরই একটি ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে গতিশক্তি সৃষ্টি করেছিল, সেই গতিশক্তিকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করবে।
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ: কমিটির অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশ থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে নির্মূল করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান: কমিটি একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের পক্ষে। তাদের মতে, বর্তমান সংবিধান দেশের বাস্তবতা অনুযায়ী আর কাজ করছে না।
দেশব্যাপী কমিটি গঠন: কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর এবং থানা পর্যায়েও নাগরিক কমিটি গঠন করা হবে। এতে করে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে: জাতীয় নাগরিক কমিটি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে চায়।
সমাজে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন পক্ষের সাথে মতবিনিময়: কমিটি সমাজে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করে একটি ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ গড়ে তুলতে চায়।