শনিবার, ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে লাখো বামপন্থীরা রাস্তায় নেমেছিল। প্যারিস, ন্যান্টেস, নিস, মার্সেই, স্ট্রাসবুর্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বামপন্থী দলগুলো মিশেল বার্নিয়ারকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার বিরুদ্ধে এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাতে এই বিক্ষোভ করেছে।
ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা:
গত জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, বামপন্থী জোট সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসে। তারা চেয়েছিল তাদের প্রার্থী লুসি ক্যাসেটসকে প্রধানমন্ত্রী করা হোক। কিন্তু ম্যাক্রোঁ তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ব্রেক্সিট আলোচক মিশেল বার্নিয়ারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন। ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তের পেছনে তার যুক্তি ছিল যে, ক্যাসেটস ঝুলন্ত সংসদে আস্থা ভোটে টিকে থাকতে পারবেন না।
বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ:
বিক্ষোভকারীরা ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের উপর হামলা বলে অভিহিত করেছে। তারা মনে করেন, ম্যাক্রোঁ জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অনেকে ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারের দাবি:
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বামপন্থী নেতাদের দাবির চেয়ে অনেক কম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতে, দেশব্যাপী প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
ফ্রান্সে বামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মূল কারণ হলো ম্যাক্রোঁ সরকারের সিদ্ধান্ত। ম্যাক্রোঁ তাদের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের একজনকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ফ্রান্সের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।