নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন একটা ভুতুড়ে বাড়ি। কেউ মোমবাতি জ্বালিয়ে কেউবা মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। সীমাহীন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।
সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেবাপ্রার্থীরা।
জানা গেছে, অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। চার্জ না দেওয়ায় বিকল হয়ে পড়ে আছে আইপিএস ব্যবস্থা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায়, বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবনে আইপিএস দিয়ে পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে দু-একটি টিউবলাইট জ্বলছে।আর পুরাতন ভবনে মোমবাতি ও রোগীর স্বজনদের মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করতে দেখা যায়।
মৃনাল কান্তি নামের এক রোগী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যায় সীমাহীন কষ্ট করেছি। পানিবাহিত রোগের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখানে বিদ্যুৎ আসে আর যায় গত দুই দিন ধরে। বর্তমানে এটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আইপিএস ও সোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলোও বিকল। আমরা হাসপাতালেও সীমাহীন কষ্টে আছি।
পারুল বেগম নামের আরেক রোগী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ওষুধ খেতে বা অবস্থান করতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আছি। অনেকেই মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে অবস্থান করছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় আলোর পাশাপাশি হাসপাতালে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গরমে অসুস্থ রোগীরা ছটফট করছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জেনেছি পুরো নোয়াখালীতে বিদ্যুৎ সমস্যা। গত দুই দিন ধরে আমার প্রশাসনিক ভবনে পুরো অন্ধকার থাকে। আমি ঠিকমতো কাজ করতে পারি না। এত বেশি লোডশেডিং যে আমারা আইপিএস চার্জ নেওয়ার মতো সময় পায় না। অন্যদিকে সোলার সিস্টেমটাও অনেকটা অকেজো। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা করি দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন। ফলে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।