কোভিড-১৯ মহামারির সময় কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি অভিযোগে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে কঠোরভাবে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কর্ণাটকে বিজেপি’র শাসনামলে কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্যের রাজনীতি। কর্ণাটকের মূখ্যমন্ত্রী ও ‘মুডা এবং বল্মিকী কর্পোরেশন’ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আসলে, কোভিডের সময়ে সরকারি তহবিলের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি জন মাইকেল ডি কুনহা এই কথিত কেলেঙ্কারিতে সরকারের কাছে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়।
রাজ্যে করোনা মহামারির সময় মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি।
পিটিআই জানিয়েছে, কোভিডের সময় ১ হাজার কোটি টাকা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে জানা গেছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও রিপোর্ট পেশ করা হতে পারে বলে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কমিটি যাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করতে পারে তার মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার।
কর্ণাটকে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরপ্পার নেতৃত্বে রাজ্যে বিজেপি কোভিডের জন্য কোটি কোটি টাকার তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এ বিষয়ে বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় পেশ করেছেন।
২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর, এই বছরের আগস্টে কথিত কোভিড কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য কর্ণাটক হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এমডি কুনহার নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সম্প্রতি এই কমিশনের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এই কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচ কে পাতিল বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিচারপতি কুনহার প্রাথমিক কোভিড রিপোর্ট মন্ত্রিসভার সামনে পেশ করেছিলেন। রিপোর্টে কোটি টাকার অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। অনেকগুলো ফাইল হারিয়ে যাওয়া কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।