সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্মপাশায় মামলা হয়েছে।
রোববার উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নূর জামাল বাদী হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় রতনের ছোট ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নূর জামাল বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মোতালিব খানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে আসামিরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমেদ মুরাদের প্রতীকে জোরপূর্বক জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় নূর জামালসহ স্থানীয়রা এতে বাধা দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের বছর ২ অক্টোবর সাবেক এমপি রতনের হুকুমে রতনের লোকজন সেলবরষ ইউনিয়নের মহিষাখালী বাজার থেকে নূরজামাল ও তার ছেলে নূরুল হুদাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে করে বাদশাগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুজনকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় নূরজামাল ও নূরুল হুদার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহতাবস্থায় নূরুল হুদাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নূর জামাল স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
মামলার বাদী নূর জামাল বলেন, ওই সময়ই থানায় মামলার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি। আর মামলা করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সে ভয়ে আর আইনি পদক্ষেপ নেইনি। এখন সুবিচার পাব বলে বিশ্বাস করি।