স্পিন বিভাগ শক্তির জায়গা শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে। যার জন্য বরাবরই তাই বাংলাদেশ দলে দেখা গেছে স্পিনারদের আধিক্য। তবে এখন সে যুগ বদলেছে টাইগারদের। এখন বোলিং বিভাগে বাংলাদেশের দাপট দেখাচ্ছে পেসাররা। যার শেষ সংযোজন নাহিদা রানা। পাকিস্তান সিরিজে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে দারুণ প্রশংসায় ভাসছেন নাহিদ রানা। এরপর অবশ্য প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই এসে যাচ্ছে, শোয়েব আখতার নাকি ব্রেট লি— কার মতো হতে চান নাহিদ রানা। তবে এ পেসার জানিয়েছেন, কারও মতো নই, নাহিদ রানা হতে চান নিজের মতোই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে নাহিদ জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে আমি কাউকে সেভাবে ফলো করি না। তবে বাংলাদেশে আমার সব পেস বোলারদেরই আমার ভালো লাগে। কারণ তাদের খেলা দেখেই আমি বড় হয়েছি। তাই নির্দিষ্ট কেউ একজন নেই। বাংলাদেশের সব পেসারদেরই আমার পছন্দ, যারা আমার সিনিয়র।’
সেটা না হলেও সব পেসারদেরই একজন আইডল থাকেন, যার মত তিনি হতে চান। তবে এখানেও ব্যতিক্রম নাহিদ। ‘আসলে আমি কারও মত হতে চাই না। আমি নাহিদ রানা, বাংলাদেশের নাহিদ রানাই হতে চাই।’
বেশি গতিতে বল করার আলাদা ভাবনা নিয়ে বোলিং করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কখনও অনুভব করিনি যে আমাকে (ঘণ্টায়) ১৫২ কি.মি গতিতে বোলিং করতে হবে। একটা জিনিসই সবসময় মাথায় ছিল যে আমাকে প্ল্যান যেটা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী বোলিং করেছি বা আমার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছি।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে দলের হয়ে অবদান রেখে তৃপ্তি দিচ্ছে নাহিদ রানাকে। ‘স্বপ্নের মত না আসলে। কিন্তু আমি যেটা আশা করেছিলাম, বা দল আমার কাছে যা আশা করেছিল, সেটা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই। সেটা করতে পেরেছি তাই ভালো লাগছে।’
ভারত সিরিজের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে অনুশীলন করলাম। প্রস্তুতিও ভালো আছে। প্রস্তুতি যত ভালো হবে ম্যাচের মধ্যে ভালো করার সম্ভাবনা তত ভালো হবে। ভারত তো অবশ্যই ভালো দল। দুই দলের মধ্যে যে ক্রিকেটটা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। তখন দেখা যাবে ম্যাচের মধ্যেই। টার্গেট তো আছে। দলকে এখনো আমার সেরাটা দেওয়া বাকি রয়েছে। দিবো সামনে।’