মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে বরিশালে বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে ধর্মঘট শুরু করে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস শ্রমিকরা।
নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ১৪টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ করা হয় প্রথমে। পরে ঢাকাসহ দূরপাল্লার রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
বাস শ্রমিকরা জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল আদালত নিষিদ্ধ করেছে। আইন না মেনেও তারা মহাসড়কে চলাচল করে। এ ছাড়া বাসস্টপেজ থেকেও সিএনজি, মাহিন্দ্রায় যাত্রী তোলে। এর প্রতিবাদ করলে তারা পরিবহন শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়।
পরে আমাদের এক শ্রমিকের গায়ে মাহিন্দ্রা দিয়ে চাপা দেয়। তাই মারধর ও নিরাপত্তার অভাবে শ্রমিকরা কাজে যেতে চাচ্ছে না। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট পালন করব। মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নিয়মিত চলাচল করছে। যার ফলে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বাস শ্রমিক শাওন কালবেলাকে বলেন, সরকার থেকে মহাসড়কে এই থ্রি হুইলার গাড়ি বন্ধ করলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ গাড়িগুলো চালাচ্ছে। শুধু মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের কারণে বরিশাল শহরের কাশিপুর গরিয়ারপাড়, রহমতপুর, উজিরপুরের ইচলাদি, জয়শ্রী, গৌরনদীর বাটাজোর, মাহিলারা, গৌরনদী বাস টার্মিনাল, টরকী, বার্থী এলাকা পার হতে ভোগান্তির শেষ থাকে না।
আরেক বাস শ্রমিক আলামিন জানান, থ্রি হুইলার চালকরা বাস কাউন্টারের সামনে এসে যাত্রী উঠাতে থাকে। ওদের স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও বাসের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে যায়। এটার প্রতিবাদ করলে থ্রি হুইলার চালকরা বৈষম্যবরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জানান।
তিনি বলেন, তাদেরই একটি পক্ষ বাস টার্মিনালে এসে বাস শ্রমিকদের কাছে থ্রি হুইলার শ্রমিকদের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে অযৌক্তিকভাবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাস শ্রমিকরা। যেখানে শিক্ষার্থীদের ভাড়া আমরা ৫০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছি বাসে। সেখানে থ্রি হুইলার শ্রমিকদের পক্ষে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কৈফয়ত চাওয়াটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। আমরা তো আইন অনুযায়ী কথা বলছি।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।