আজ বুধবার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান । ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
এনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামী দিনে জনগণের সহযোগিতায় বিএনপি জনগণের সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। এ কারণে বাংলাদেশের মাটিতে আমার মন পড়ে আছে। বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করা। জনগণের যে অর্থনৈতিক মুক্তি, সেটি অর্জন করা।’
তিনি আরো বলেন , ‘স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, প্রেতাত্মারা কিন্তু এখনো ঘোরাফেরা করছে। তারা বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের প্রিয় দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তাদের রুখে দেবে। এত অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি টিকে আছে। যদি জনগণের সাহায্য ও সমর্থন বিএনপির প্রতি অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা সেই সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।’
তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিগত ১৭ বছর আন্দোলনের ফলে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগণের বিজয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে গড়তে হবে।’
এনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন , ‘আমরা দেশ ও দেশের মানুষের সামনে রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। এগুলো আপনারা দেখেছেন। এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা উল্লেখ করেছি। আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছি, আমরা গণতান্ত্রিক যে বিজয় তার একটি অংশ অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার। যে আন্দোলন বিগত ১৭ বছরে ধরে আমরা বলে আসছি।’
তিনি বলেন , ‘জনগণের লক্ষ্য হাসিলের জন্য আমাদের বহু নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন। বিএনপির বাইরে অন্যান্য দলের বহু নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। যাঁরা রাজনীতি করেন না কিন্তু দেশকে ভালোবাসেন, বিভিন্ন পেশার এমন বহু মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। এই আত্মত্যাগের কারণ কী? কারণ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তাঁদের কথা বলবে। জনগণ তাঁদের কথা অনুযায়ী কাজ হবে। এমন একটি ব্যবস্থা, যেটিকে রাজনৈতিক ভাষায় বলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা ভোটব্যবস্থা, জনগণের ভোট। যে ভোটযুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছে। যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছে। আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।’
সমাবেশে আবদুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপির সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানান তারেক রহমান।
গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু), সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ, সদস্য ওবায়দুল হক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত প্রমুখ ।