ইরানের নয়া প্রেসিডেন্টি মাসুদ পেজেশকিয়ান বুধবার প্রতিবেশী ইরাক সফরে যাবেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর। তিনি ইতোমধ্যেই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চাচ্ছেন।
পেজেশকিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ, তিনি ইরানের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কমাতে এবং এর অর্থনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হ্রাস করতে চান।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কারণে মঙ্গলবার পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তার এই সফর।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির কারণে এই অঞ্চলের চারপাশে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আকৃষ্ট করেছে এবং ওয়াশিংটনের সাথে বাগদাদের সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে পেজেশকিয়ান ইরাক সফরে যাচ্ছেন
মঙ্গলবার রাতে ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জিহাদি বিরোধী জোটের ঘাঁটিতে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরাকে ইরান-সমর্থিত কেতায়েব হিজবুল্লাহ (হিজবুল্লাহ ব্রিগেড) এর এক মুখপাত্র বলেছেন,মঙ্গলবার রাতে ‘আক্রমণ’র লক্ষ্য ‘ইরানি প্রেসিডেন্টের বাগদাদ সফরকে ব্যাহত করা।’
২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের সুন্নি-অধ্যুষিত শাসনের পতনের পর থেকে ইরান ও ইরাক উভয়ে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এই সপ্তাহে বলেছেন, ‘এই সফরটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রচার এবং গভীর করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।’
পেজেশকিয়ান সরাসরি নিষেধাজ্ঞার চাপের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করাকে যুক্ত করেছেন।
তিনি গত মাসে বলেছিলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক এবং নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাপকে নিরপেক্ষ করতে পারে।’
ইরান বছরের পর বছর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, বিশেষকরে দেশটির চিরশত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ২০১৮ সালে এবং প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে একতরফাভাবে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পর দেশটির উপর একর পর এক নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে।