সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখের অপসারণ ও ১৫৫ কর্মকর্তার পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধুমতি সম্মেলন কক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও তার দোসরদের অপসারণের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই দাবি জানায়।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরে পদোন্নতিসহ বিদ্যমান চরমবৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে অধিদপ্তরের সকল সোপানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ৪ দফা কর্মসূচি প্রদান করে। তাদের দাবিরসমূহের মধ্যে- এস আলমের সহযোগী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ এর অপসারণ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে প্রেষণে নিযুক্ত সকল পরিচালকের প্রেষণ আদেশ বাতিলপূর্বক প্রত্যাহার। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিদ্যমান নিয়োগবিধির আলোকে পদোন্নতি বঞ্চিতদের অতিরিক্ত পরিচালক থেকে পরিচালক, উপপরিচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক এবং সমাজসেবা অফিসার থেকে সহকারী পরিচালকসহ সকল যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ক্ষেত্রমত পদোন্নতিযোগ্য পদ না থাকলে সুপারনিউমারি ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
এসময় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আকস্মিক অধিদপ্তরে আসেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি বলেন, রাজনীতির একটি মন্দ প্রভাব আমাদের প্রশাসনে পড়েছে। আপনাদের যেমন ক্ষোভ আছে, অপূর্ণ চাহিদাও রয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের রেভিনিউর অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমাদের অবস্থাটা অনুধাবন করুন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্কারের মাধ্যমে এ অপশাসনের অবসান ঘটাতে। তবে বর্তমানে সরকার একটি সংকটময় সময় পার করছে, সবাইকে ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি কর্মকর্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, সদ্য পদায়িত দুজন পরিচালককে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আপনাদের দাবি আমরা বিবেচনা করে দেখার চেষ্টা করব। যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ব্যক্তিগত মতাদর্শে বিশ্বাস করি। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা নিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।
আলোচনায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাজ্জাদুল ইসলাম ও মোহা. কামরুজ্জামান, উপপরিচলাক (শিশু সুরক্ষা) আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, সহকারী পরিচালক এস এম ফজলুল করিম, এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মো. এমরান খান ও মো. জহিরুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার সানজিদা সুলতানা। কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন উচ্চমান সহকারী মো. শফিকুল ইসলাম।