জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রথম পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়টিরই সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবা সুলতানা।
তিনি ২০১৮ সালে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামালের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তিনি প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপাচার্যের কার্যালয়ে হাবিবা সুলতানাকে পিএইচডি ডিগ্রির সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, পিএইচডির তত্ত্বাবধানকারী অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল এবং অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।তত্ত্বাবধানকারী অধ্যাপক ড. এ এইচ এম কামাল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাবিবা সুলতানা প্রথম পিএইচডি সম্পন্নকারী। এছাড়াও আরেকজনের পিএইচডি কার্যক্রম চলমান। দুজনেই আমার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি সম্পন্ন করছেন। হাবিবার পিএইচডির মূল বিষয় ইমেজ স্টেগানোগ্রাফি। যা মূলত ইনফরমেশন সিকিউরিটির একটি ফিল্ড যেখানে ডেটাকে গোপন রেখে কমিউনিকেট করা হয়।
পিএইচডির বিষয়ে হাবিবা সুলতানা বলেন, পিএইচডি সম্পন্ন করতে আমার তত্ত্বাবধায়ক, বিভাগের শিক্ষকরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা পেয়েছি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পিএইচডি হওয়ায় বেশকিছু সমস্যারও সম্মুখীন হয়েছি, তবে নতুন নতুন অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে যারা পিএইচডি করবেন, তাদের জন্য বিষয়গুলো আরও সহজতর হবে।
তিনি আরও জানান, স্নাতকোত্তর থেকেই স্টেগানোগ্রাফি নিয়ে আমার আগ্রহ। ডেটা কমিউশনের ক্ষেত্রে স্টেগানোগ্রাফি খুবই ইফেক্টিভ। এর দ্বারা একটি ছবির মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হলে শুধুমাত্র প্রাপকই সেটি শনাক্ত করতে পারবেন, অন্য কেউ বুঝতে পারবে না। আর্টিকেলটি প্রকাশ করতে বেশকিছু জার্নালও ইতোমধ্যে আগ্রহ জানিয়েছে। ভবিষ্যতে ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
উল্লেখ্য, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েই ২০১৬ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।