তিন দেশের নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে ইরান। রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পশ্চিমা ওই তিন দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানী গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক এক্স-বার্তায় এমন প্রশ্ন তুলেন। তিনি লেখেন, শহুরে এলাকা, বাড়িঘর ও ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে হামলাকারী ইহুদিবাদী শাসকদের কাছে নিষিদ্ধ অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুই হাজার পাউন্ড বোমা রপ্তানিকারকরা কীভাবে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে? তারা কি সে অধিকার রাখে? অথচ রাশিয়ার কাছে ইরান কোনো ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তর করেনি।
তিনি আরও লেখেন, ইহুদিবাদী শাসকদের বোমাবর্ষণের পর খান ইউনিসের আলমাওয়াসি শিবিরের ভয়ংকর চিত্র দেখুন। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া দায়ী।
প্রসঙ্গত, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া তিন দেশ হলো- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ইরানের জাতীয় বিমান সংস্থার সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন লন্ডন সফরে থাকাকালে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এর আওতায় সংস্থাটির ভ্রমণ বাতিল ও সম্পদ জব্দ করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়া ইরানের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এর ফলাফলও দেখা গেছে। যদিও রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।