চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চালক ও সহকারীকে (হেলপার) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বাসে একা পেয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী।
অভিযুক্তরা হলেন- বাসচালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলাম (১৯)। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী মামলা করলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বয়স ১৯ বছর। তার স্বামী পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্বামীর বাসায় ফেরার জন্য পটিয়া মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে ওঠেন ওই নারী। এ সময় তাকে বহনকারী বাসটি নগরের কর্ণফুলী থানার চারপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে চালক ও তার সহকারী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় বাসে ওই নারী একা ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। এতে বাসের চালক ও তার সহকারীকে আসামি করা হয়। পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।