উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় একাধিক স্বল্প পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিউলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরু থেকে পরমাণু শক্তিধর দেশটির এটি প্রথম বড় ধরনের অস্ত্র পরীক্ষা।
উ.কোরীয় নেতা কিম জং উনের শাসনাকালে এই বছর কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়ার মিত্র রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু, দীর্ঘদিন কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে তারা এই বছর দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘প্রধান শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম সরঞ্জাম দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে মোতায়েন করেছে।
এদিকে সিউলের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেছেন, তারা বৃহস্পতিবার ভোরে পিয়ংইয়ং থেকে পূর্ব সাগর বা জাপান সাগরে নিক্ষেপ করা একাধিক ‘স্বল্পপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ শনাক্ত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) উড়ে যাওয়ার পর বিস্ফোরিত হয়। জেসিএস আরো বলেছে, তারা ‘তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত, ট্র্যাক এবং পর্যবেক্ষণ’ করেছে এবং সিউলের মিত্র টোকিও এবং ওয়াশিংটনের সাথে তথ্য বিনিময় করেছে।
জেসিএস বলেছে, পরীক্ষাটি ‘একটি স্পষ্ট উস্কানিমুলক যা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্বকভাবে হুমকির সম্মুখীন করেছে।’ তিনি বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, দেশটি ‘ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়ার কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’