গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর ইউনিট আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ২২ জন, ২২৭ জন আহত এবং দুইজন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে।
মোহাম্মদপুরে বেঙ্গলি মিডিয়াম হাইস্কুলে আয়োজিত এক স্মরণসভায় মোহাম্মদপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সভায় শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
তারা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত, শহিদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, আন্দোলনে নিহতদের শহিদের মর্যাদা প্রদান এবং নিহতদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এসময় তারা আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী ছাত্র-জনতার প্রবল গণবিষ্ফোরণের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
সাকি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে শত শত মানুষ শহিদ হয়েছেন। তিনি আন্দোলনে নিহতদের শহিদের মর্যাদা দেওয়ারও দাবি জানান। যেকোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের এই প্রধান সমন্বয়ক। দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানও তিনি।
সাকি বলেন, তার দল সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে।
গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর ইউনিটের সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার প্রমুখ।