দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
একজন সফল উদ্যোক্তা ও সাংবাদিক: আমানউল্লাহ খান কেবল ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাই নয়, তিনি কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যানও ছিলেন। কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডের অধীনে বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশিত হত।
সাংবাদিকতায় অবদান: পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন। কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন।
সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ: সাংবাদিকতা ও ব্যবসায়ের পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও সক্রিয় ছিলেন। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আধুনিক (জাতীয় ধূমপানবিরোধী সংস্থা) এবং সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটির সাথে যুক্ত ছিলেন।
একজন ব্যক্তিত্বের বিদায়: আমানউল্লাহ খানের মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতা জগতসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি একজন দক্ষ উদ্যোক্তা, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক হিসেবে সর্বদা স্মরণীয় থাকবেন।
মৃত্যুর কারণ: বার্ধক্যজনিত জটিলতায় তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবার: তিনি স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন এবং ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইউএনবির যাত্রা: ইউএনবি ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা হিসেবে ইউএনবি দেশের সর্বত্র সংবাদ প্রচার করে।
আমানউল্লাহ খানের অবদান: আমানউল্লাহ খানের নেতৃত্বে ইউএনবি দেশের সাংবাদিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শেষ বিদায় জানাজা: আমানউল্লাহ খানের জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।