জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে পুরোনো রাজনৈতিক শক্তির উচ্ছেদ ও নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। ফলে সংবিধানসহ রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় আ স ম আবদুর রব সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানসহ সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনের যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে তা বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্রের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে তাকে ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত করে যুগান্তকারী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রবর্তন করতে হবে। সমাজ এখন রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে, এই বাস্তব পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে হবে।
উত্তরার বাসভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির এ সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয় : ১) জুলাই গণহত্যার প্রেক্ষিতে অকুতভয় সংগ্রামী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণবিক্ষোভ ও গণবিদ্রোহে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং পলায়ন ইতিহাসে এক অনন্য এবং অসাধারণ ঘটনা হিসেবে স্থান করে নেবে।
২) ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ম্যান্ডেট ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে বিশ্ববরেণ্য, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এক সময়োচিত ও দূরদর্শী পদক্ষেপ।
৩) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত আইনশৃঙ্খলাসহ শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৪) বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখাসহ শিল্প কারখানায় উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। বন্যা-উত্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫) ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যুবশক্তির বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণসহ জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৬) ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামের আকাঙ্ক্ষার সম্মিলনে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অদলীয় সমাজশক্তির অংশীদারিত্ব ভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করে গণআকাঙ্ক্ষা পূরণের সহায়ক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তৃতীয় জাগরণকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সভায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মিসেস তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কেএম জাবির, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, বাবু হীরালাল চক্রবর্তী, ডা.জবিউল হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।