বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক (ডিজি) এনগোজি ওকোনজো-আইওয়েলা বলেছেন, বাংলাদেশ অনেকগুলো সাপ্লাই চেইন বিকেন্দ্রীকরণ করেছে। তারা প্রযুক্তি পার্ক নির্মাণ করে এমন পরিবেশ গড়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বহুমুখীকরণ, পরিষেবা-ভিত্তিক প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যয় হ্রাস এবং প্রচুর নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস রয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে বিদ্যমান অপেক্ষাকৃত বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম বৈশ্বিক অর্থনীতিকে কার্বণমুক্ত করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব প্রচেষ্টা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজের চাহিদা বৃদ্ধি করেছে।’
ডব্লিউটিও সদর দফতরে সাম্প্রতিক এক প্রেস ব্রিফিংকালে ডব্লিউটিও’র ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় শ্রমশক্তির দক্ষতা, অবকাঠামো, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি ও স্থানীয় সরবরাহ চেইনের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে ও স্থানীয় অর্থনীতিতে সর্বাধিক সুফল বয়ে আনতে সহায়তা করে।
তিনি আরো বলেন, ‘অধিক ও ভাল বাণিজ্য হচ্ছে প্রান্তিক অবস্থান থেকে লোকজন ও বিভিন্ন স্থানকে বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য শুধুমাত্র বাণিজ্য নীতিই যথেষ্ট নয়। বাণিজ্য করার জন্য দেশগুলোর পরিপূরক অভ্যন্তরীণ নীতিও প্রয়োজন। ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকা- সবার জন্যই কল্যাণকর।’
এক প্রশ্নের জবাবে এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালা বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশগুলো ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) পর্যায় থেকে উত্তরণের পরও কিছু সময়ের জন্য একই সুবিধা পেতে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ১৩তম ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীরা উত্তরণের পরও এলডিসি দেশগুলোতে বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।