বাংলাদেশ ফুটবলের দীর্ঘদিনের অধিনায়ক কাজী সালাহউদ্দিন বাফুফে সভাপতি পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এই ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের এক যুগের অবসান ঘটলো। দীর্ঘ চার মেয়াদ বাফুফের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কাজী সালাহউদ্দিন বাংলাদেশি ফুটবলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেন যে, তাকে এতদিন বাংলাদেশী ফুটবলের সেবা করার সুযোগ মিলেছিল।
কাজী সালাহউদ্দিনের বাফুফে যাত্রা: এক নজরে
বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে কাজী সালাহউদ্দিনের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসুন তাঁর বাফুফে যাত্রার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখে নেওয়া যাক:
প্রথম জয়: ২০০৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাহউদ্দিন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়: ২০১২ সালে তিনি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দ্বিতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন।
প্রবল বিরোধিতা ও জয়: ২০১৬ সালে কামরুল আশরাফ খানের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাফুফের দায়িত্ব পান।
চতুর্থ জয়: ২০২০ সালে বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিককে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন।
কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না?
কাজী সালাহউদ্দিনের এই সিদ্ধান্ত অনেকের জন্য অবাক করা হলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি মনে করেন, এখন বাংলাদেশ ফুটবলে নতুন নেতৃত্বের দরকার। তিনি আরও বলেন, তিনি চারটি মেয়াদ বাফুফেতে কাজ করেছেন এবং এখন তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দিতে চান।
ফিফার সিদ্ধান্ত:
বাফুফে নির্বাচন ২৬ অক্টোবর হওয়ার কথা থাকলেও, অনেকেই একে পেছাতে চেয়েছিলেন। বাফুফে ফিফার কাছে এই বিষয়ে আবেদনও করেছিল। কিন্তু ফিফা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের অনুমতি দেয়নি।
ভবিষ্যতে কি হবে?
কাজী সালাহউদ্দিনের অবসরের পর বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যে, বাংলাদেশি ফুটবলে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।