গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামক একটি ছাত্র সংগঠন, যা গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্তটি তখন নেওয়া হয়েছে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছে।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে যে তারা তাদের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করছে।
এই সংগঠনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের যোগাযোগ ছিল। তিনি একসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার ফলে ছাত্র রাজনীতিতে একটি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্ত ছাত্র রাজনীতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা করতে পারে।
সম্প্রতি দেশে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের অনেকেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এই সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের উপস্থিতি ছিল। আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য এক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়া, আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এবং তারেকুল ইসলাম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আবু বাকের মজুমদার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাফিয়া রেহনুমা হৃদি এবং আব্দুল হান্নান মাসউদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব ছিলেন। মো. রাশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসির আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন এবং মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য ছিলেন।