চাঁদের জন্য একটি নতুন মান সময় ব্যবস্থা তৈরি হবে বলে নিশ্চিত করেছে নাসা।
২০২৬ সালের মধ্যে নাসাকে চাঁদের জন্য নতুন মান সময় তৈরির নির্দেশ দিয়ে, এপ্রিলে একটি পলিসি মেমো প্রকাশ করেছিল মার্কিন সরকার।
পাঁচ মাস পর মহাকাশ সংস্থাটি নিশ্চিত করল, তারা মার্কিন সরকারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, অংশীদার ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করে ‘কোঅর্ডিনেটেড লুনার টাইম’ (এলটিসি) তৈরি করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
চাঁদের জন্য কেন টাইম জোন বা সময় অঞ্চল তৈরি করতে হবে? এটি বুঝতে হলে আইনস্টাইনের তত্বের কথা ভাবুন।
থিওরি অফ রিলেটিভিটি বলে, যেহেতু সময় গতি ও মাধ্যাকর্ষণ বলের ভিত্তিতে বদলায়, ফলে চাঁদের কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে সেখানে সময় কিছুটা দ্রুত চলে। অর্থাৎ চাঁদের পৃথিবীর একটি ঘড়ি দিনে অন্তত ৫৬ মাইক্রোসেকেন্ড লাভ করবে। এটি খুব সামান্য মনে হলেও, নির্ভুল হতে হবে এমন মিশনের নিখুঁত গণনায় এ সামান্যতেই বড় ভুল হতে পারে, যা ভবিষ্যতের এসব মিশনকে বিপদে ফেলতে পারে।
“আলোর গতিতে চলে এমন কিছুর জন্য ৫৬ মাইক্রোসেকেন্ড প্রায় ১৬৮টি ফুটবল মাঠের সমান দূরত্ব অরিক্রম করার জন্য যথেষ্ট সময়।” – এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন নাসার টাইমিং অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড লিডার শেরিল গ্রামলিং।
“যদি কেউ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে, এবং আপেক্ষিকতার প্রভাব একদিন ধরে আমলে না নিয়ে পৃথিবীর পর্যবেক্ষক যদি তাকে দেখেন; ওই নভোচারীকে পর্যবেক্ষক যেখানে দেখবেন, ওই সময়ে তার অবস্থান আসলে সেখান থেকে ১৬৮টি ফুটবল মাঠ দূরে।”
হোয়াইট হাউসের ওই মেমো ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এলটিসি প্রবর্তনের পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, অঙ্গরাজ্য ও পরিবহন বিভাগের সঙ্গে নাসাকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।
বৈশ্বিক স্টেকহোল্ডাররা, বিশেষ করে ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ চুক্তির স্বাক্ষরকারীরা এতে ভূমিকা পালন করবে। ২০২০ সালে হওয়া এ চুক্তিতে মহাকাশে মানতে হবে এমন কিছু নিয়মের বিস্তারিত রয়েছে, যেখানে অন্তত ৪৩টি দেশ যুক্ত। তবে, চীন ও রাশিয়া এতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে।