জাপানে বর্তমানে ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী লোকজনের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার জনে। শতকরা হিসেবে এখন দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৯ দশমিক ৩ শতাংশই এখন বয়স্ক।
রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাপানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও বয়স্ক লোকজনের সংখ্যা এত বেশি দেখা যায়নি।
আরও বলা হয়েছে, বয়স্ক লোকজনের নিরিখে এই মূহূর্তে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান। এছাড়া ইতালি, পর্তুগাল, গ্রিস, ফিনল্যান্ড, জর্মানি এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশগুলো রয়েছে এই তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশের কাতারে। যেসব দেশ শীর্ষ দশে রয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই বয়স্ক লোকজনের শতকরা হার মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের বেশি।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক বছর ধরে জনসংখ্যাগত সংকটে ব্যাপকভাবে ভুগছে জাপান। একদিকে নিম্ন জন্মহারের জন্য দেশটিতে কর্মক্ষম যুব পুরুষ ও নারীর হার কমছে, অন্যদিকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় প্রতি বছরই কমছে মৃত্যুহার; আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে বাড়ছে বয়স্ক লোকজনের সংখ্যাও।
গত বছর শুরুর দিকে জাপানের মোট জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ; কিন্তু নিম্ন জন্মহারের কারণে গত দেড় বছরে দেশটির জনসংখ্যা ৫ লাখ ৯৫ হাজার হ্রাস পেয়েছে।
কর্মক্ষম যুব নারী ও পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জাপানের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে বয়স্ক মানুষদের চাকরি দিচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৯০ লাখ ১৪ হাজার বয়স্ক মানুষ জাপানে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এদের সবারই বয়স ৬৫ কিংবা তার বেশি।
অর্থাৎ সরকারি হিসেবে বর্তমানে জাপানের মোট কর্মশক্তির ১৩ দশমিক ৫ শতাংশই বয়স্ক। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে— কর্মক্ষেত্রে এই পরিমাণ বয়স্ক মানুষের উপস্থিতিও একটি রেকর্ড।