বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদের সাহসী আত্মত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পায় ভিন্ন মাত্রা। সেই আত্মত্যাগের জন্য আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক। অমরত্ব পাওয়া আবু সাঈদের জীবনের সেরা সময়কে ছবির অবয়বে ধরে রেখে আরেক ইতিহাসের অংশ হয়ে যান ফটো সাংবাদিক আদর রহমানও।
ওই সময় আবু সাঈদের তোলা ছবি নিয়ে একটি একক প্রদর্শনী হয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতি সংঘের তত্ত্বাবধানে জাফরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। শহীদ আবু সাঈদ ম্মৃতি সংঘের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শেষ দিন রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দর্শনার্থীর ভিড় ছিল উপচে পড়া।
এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করেন আবু সাঈদের নিজ বিদ্যালয় জাফরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে । দুই দিনের এই আয়োজনে কয়েক হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থী প্রদর্শনী দেখতে আসেন।
গত শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে প্রদর্শনী চলে রোববার রাত পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন।
শিক্ষার্থী থেকে রিকশাচালক, শিশু-কিশোর থেকে বিভিন্ন পেশাজীবীরাও আগ্রহের সঙ্গে প্রদর্শনীতে আসেন। প্রদর্শনীতে আসা কলেজের ছাত্রী লাভলী বেগম বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর দেশ চাই।’ আরেক ছাত্র লেমন বাবু বলেন, ‘আবু সাঈদকে গুলি করার দৃশ্য টিভিতে দেখেছি। প্রদর্শনীতে এসে সেসব দেখলাম।
প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার যেন হয়।