বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বরাবরই বেশ উচ্ছ্বসিত ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। টাইগার ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রায়ই নানাবিধ মন্তব্য পাওয়া যায় হার্শার কাছ থেকে। ভারতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফরের আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লম্বা সময় কথা বলেছেন টাইগার ক্রিকেটারদের নিয়ে। আলাদা ভাবে বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন পুরো দল নিয়ে।
তবে লম্বা এই কথার মাঝে আলাদা করে উঠে এসেছে বেশকিছু তারকার নাম। ব্যাটিং নিয়ে কথা বলেছেন দীর্ঘক্ষণ। কথা বলেছেন লম্বা ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে, ‘তাদের শীর্ষ ৮ ব্যাটারের মধ্যে ২ জন আছে যে উইকেটকিপিং করতে পারে যারা কিনা চাইলে কেবল ব্যাটার হিসেবেও খেলতে পারে। ২ জন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার রয়েছে, অবশ্যই সাকিব আল হাসান, সাথে মেহেদী হাসান মিরাজ – তাকে যতবারই দেখি ততবারই মনে হয় আরও ভালো হচ্ছে। লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ বড় দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত আছে।’
হার্শা বিশ্বাস করেন দুই সিনিয়র সাকিব ও মুশফিকের অবসরের পরেও টিকে থাকবে বাংলাদেশের শক্ত ব্যাটিং লাইন আপ, ‘সাকিব কতদিন খেলবে আমি জানি না। আমার মনে হয় সে শেষের অনেক কাছাকাছি চলে গিয়েছে। মুশফিকুর রহিমের ক্ষেত্রেও এমনটা বলব তবে তার ব্যাটিং অনেক ভালো হচ্ছে। যদি এই দুইজন বিদায় নেয় তাহলে লিটন এবং মেহেদীর মধ্যে তারা সঠিক রিপ্লেসমেন্ট খুঁজে পাবে। ৫-৮ নম্বরের দিকে দেখুন মুশফিক, সাকিব, লিটন, মিরাজরা ১ ধাপ নিচে খেলছে যেখানে তারা খেলতে পারে তার থেকে।’
তার ভাষ্য ‘টেস্ট ক্রিকেটে আপনি এই বিষয়টি দেখবেন যে ব্যাটাররা কি বেশি উপরে ব্যাট করছে নাকি নিচে করছে। বাংলাদেশের এই লাইনআপে সবাই তাদের সামর্থ্যের কিছুটা নিচে নেমে ব্যাট করছে এবং এটাই নির্দেশ করছে তাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা কতখানি।’
তবে বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারের কাছ থেকেও রান আশা করেন হার্শা, ‘দুইজনের কাছ থেকে বিশেষ করে যারা ভালো টেস্ট প্লেয়ার – অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যে ভালো প্লেয়ার কিন্তু এখন রান পাচ্ছে না এবং মুমিনুল হক, যে কিনা অনেক দিন ধরে টেস্টে খেলে আসছে। ফলে এই দুজনকে রান করতে হবে সাথে ওপেনিং থেকেও রান পেতে হবে। পাকিস্তানের সাথে রান তাড়ায় জাকিরের ব্যাটিং ভালো লেগেছিল আমার। সাদমান ইসলাম হয়ত আরও একটু আশা করা যায়। মাহমুদুল হাসান জয়ও ছিল, তবে সে চোটে ছিল কিছু সময় ধরে। শীর্ষ চার যদি রান না পায় তাহলে নিচের ব্যাটারদের উপর চাপ পড়ে। এখানেই বাংলাদেশের বড় পরীক্ষাটা হতে যাচ্ছে।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। চেন্নাইতে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৭ তারিখ থেকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে।