স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল পৃথক বার্তা দেন।
সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আমিরাত জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ-পরবর্তী কোনো পরিকল্পনায় সমর্থন দেবে না তারা। অন্যদিকে সৌদি আরব জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না তারা।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, আমিরাত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে প্রস্তুত নয়। এমন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যেখানে সরকার ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং সততা, যোগ্যতা, স্বাধীনতা ও সম্মানের সঙ্গে এটি পরিচালিত হবে। এ ধরনের সরকারকে আমিরাত সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এদিকে সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সাল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না ততক্ষণ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না সৌদি আরব।
এর আগে গত মে মাসে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ইসরায়েলকে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সৌদির শর্ত মানতে হবে। তবেই এ সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এ শর্তগুলো হলো- গাজা থেকে সরে যাওয়া, বসতি স্থাপন বন্ধ করা এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা।
নিবন্ধে লেখক উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এ চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সৌদির শর্ত মেনে নেওয়ার মতো ইসরায়েলে কোনো সরকার এলে তখন চুক্তি হতে পারে।
চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে। এছাড়া পারমাণবিক অবকাঠামোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে তারা।