বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে পালাননি। কারণ তিনি বলেছিলেন- এদেশ আমার, মাটি আমার। এদেশ থেকে আমি কোথাও যাব না। অন্যদিকে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ছেড়ে পাশের দেশে পালিয়েছেন। চট করে না কি চলে আসবেন। আমি বলব- আসুন। আপনার অপেক্ষায় আমরা সবাই আছি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, গত ১৭ বছরে আমাকে ৩৪ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কোর্টে তোলা হলে সাংবাদিকরা বলতো ভাই হাত নাড়েন। নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন। বীরের মতো আদালতে গেছি। আমার দল ও নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। কারণ তিনি হাসিনার মতো ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকেননি। আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন চোরাকারবারি হিসেবে। আমার জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের মার খেতে হয়নি। হবেও না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চাই। কিন্তু সেটারও একটা সময় আছে।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ
চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা।