ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে অঞ্চলটিতে থাকা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ২৪ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলায় পিকেকের ২৪ স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে গোষ্ঠীটির ঘাঁটি, বসতি এবং অস্ত্রাগার রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাকের পার্বত্য অঞ্চল হাকুরক, গারা, কান্দিল এবং তুর্কি সীমান্তের কাছে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি, আশ্রয়কেন্দ্র এবং ডিপোকে লক্ষ্য করে এ বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
পিকেকে তুরস্ক সীমান্তের কাছে উত্তর ইরাকে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করার জন্য একটি আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। গোষ্ঠীটি বিভিন্ন সময়ে তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ার স্থানীয়দের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (KRG) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উত্তর ইরাকের আধাস্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে গোষ্ঠীটির শক্ত অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে এসব এলাকায় ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের সামান্য প্রভাব রয়েছে।
তুরস্কের অভিযানে কারণে দেশটির অভ্যন্তরে পিকেকের উপস্থিতি বিলুপ্তির দিকে যেতে চলে গেছে। এর বদলে তারা তাদের অভিযানের বড় অংশ উত্তর ইরাকে স্থানান্তর করছে। এর মধ্যে মাউন্ট কান্দিল অঞ্চলে তাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এ এলাকাটি তুরস্কের ইরবিল সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত।
গত ২৫ বছরে তুরস্ক পিকেকের বিরুদ্ধে উত্তর ইরাকে কয়েক ডজিন সামরিক অভিযান চালিয়েছে। ক্লো অপারেশনের অংশ হিসেবে ২০২২ সাল থেকে দেশটি সন্ত্রাসী এ গোষ্ঠীটির আস্তানা ধ্বংস ও করিডোর নির্মাণরোধে এ বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
বছরের পর বছর ধরে তুরস্কের সীমান্ত পার হয়ে পরিচালনা করা অভিযানগুলো উত্তেজনার কারণ হয়েছে। দেশটি পিকেকের মোকাবিলায় ইরাকের সহযোগিতা চেয়ে আসছে। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে তারা গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে।
পিকেকে গত ৪০ বছর ধরে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া এ গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে নারী ও শিশুসহ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে।