আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনগুলো ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে আশা করছি।’
ড. আসিফ জানান, প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে বিস্তৃত সংলাপ ও পরামর্শ আয়োজিত হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা গণহত্যায় জড়িত ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এবং যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাস শেষে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান ও পাঁচটি মূল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন।
কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সচিব বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে কাজ করা। এটি একটি জনসেবামূলক কাজ। অতীতে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে তারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে ছিল এবং জনগণ নানাভাবে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা আমাদের কাজ এবং সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেয়েছি।’
মাহফুজ বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আরও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব রয়েছে।
সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।