বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে ফোকলা করে দিয়ে গেছেন। তারা ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য শাপলা চত্বরে কোমলমতি শিশুদের এবং গত ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজে মাঠে সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে দেশ থেকে, ক্ষমতা ছেড়ে চলে গেছে। তারা দেশের সব সম্পদ শেষ করে দিয়ে গেছে। ব্যাংকসহ সব টাকা তারা লুট করেছে। গত ১৭-১৮ বছরে আমরা অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে সারাদেশে ৬০ লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আজ আমরা মুক্ত হয়েছি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু এখনো পুরো হইনি। ছাত্ররা অসাধ্য সাধন করেছে, এখন তাদেরকে নিয়মকানুনের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আসন্ন দুর্গাপুজা যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় এজন্য আমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। বৈষম্য দূর কর ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল করতে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। যখন উপযোগী সময় হবে তখন তারা নির্বাচন দেবে। আগামীতে আমাদের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ওয়াদুদ বিন নূর আলিফের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ ও নম্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা কলেজ সাবেক ভিপি মর্তুজা চৌধুরী তুলা।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় যুব দলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা কামাল আনোয়ার আহাম্মদ, রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি খলিলুর রহমান, শাহাদাত হোসেন ও পান্না বিশ্বাস,পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজান আলী, সম্পাদক মহসিন আলী, নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম,নেকমরদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।