যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি রাজ্যের লেচার কাউন্টির আদালত ভবনে একজন বিচারককে তাঁর নিজের অফিসে কাউন্টি শেরিফের দ্বারা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় শেরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে, লেচার কাউন্টি আদালতে বিচারক কেভিন মুলিনসকে একাধিকবার গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় কাউন্টি শেরিফ শন স্টাইনসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার অর্থ হল এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শেরিফ বিচারকের অফিসের বাইরে গিয়ে আদালতের কর্মচারীদের বলেন, তাকে বিচারকের সাথে একা কথা বলতে হবে। এরপর দুজনে মিলে বিচারকের চেম্বারে প্রবেশ করেন এবং সেখানেই এই ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের কারন সম্পর্কে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিচারকের সাথে শেরিফের মধ্যে আদালতের মধ্যেই তর্কাতর্ক হয় এবং এই তর্কের জেরেই গুলি চালানো হয়। তবে তর্কের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর শেরিফ স্টাইনস পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আদালতের মধ্যেই তাকে হাতকড়া পরানো হয়।
এই ঘটনা সারা দেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শোক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কেন্টাকি রাজ্য সরকার এই ঘটনাকে নিন্দা করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
আইনবিশারদরা এই ঘটনাকে আইনের শাসনের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখছেন এবং দোষীকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পর, যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এবং সরকারি ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হতে পারে। পাশাপাশি, সামাজিক বিভাজন কমানো এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।