তুমুল সমালোচনার মুখে অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। এরই মধ্যে বোর্ড গঠন করে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে।
নবগঠিত কমিটি আগের মতোই সার্টিফিকেশন বোর্ডে কর্তব্য পালন করবেন। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে দু’জন সরে দাঁড়ানোয় শূণ্যতা সৃষ্টি হলে সেখানে আসার জন্য প্রস্তাব করা হয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনমকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে থাকার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এমন প্রস্তাব শারীরিক অসুস্থা থাকায় শবনম সবিনয়ে ফিরিয়ে দেন। তারপরও পীড়াপীড়িতে সময় চান দু’দিন। এরমধ্যে ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বোর্ডে না থাকার জন্য অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন এই অভিনেত্রী।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শবনম বলেন, মুঠোফোনে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আমাকে প্রস্তাব করেছিলেন বোর্ডে থাকতে। কিন্তু এ মূহুর্তে আমার শরীর অনেক কিছুই পারমিট করে না। প্রতিদিন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি এসব নিয়ে ভাববার সময়ও পাই না। তবে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ তারা আমার কথা মনে করেছেন বলে। কারণ তারা আমাকে নাও ভাবতে পারতেন।
শবনম বলেন, শরীর পারমিট না করলে কিছুই ভালো লাগে না। আমার অবস্থা এখন তাই। বোর্ডে থাকলে ভালো লাগতো। আমি সবসময় একুট হোমসিক টাইপের মানুষ। কিছুদিন আগে পাকিস্তান ফিল্ম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যানের পদে অফার করেছিল তারা। এরজন্য মোটা অংকের অনারিয়ামও দিতে রাজি ছিল, কিন্তু এ বয়সে এই গুরুভার নেওয়ার মতো ফিটনেস আমার নেই। তাছাড়া দেশ ছেড়ে কোথাও আর যেতে চাই না। যে ক’টা দিন বাঁচি মাতৃভূমিতেই সবার সঙ্গে হেসেখেলে কাটিয়ে বিদায় নিতে চাই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিকরা বলেন, শবনমের মতো অভিনেত্রীকে মোবাইল ফোনে বললেই তিনি রাজি হবেন, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তার অবস্থান না বুঝে এমন প্রস্তাব দেওয়াই ঠিক হয়নি। তাকে আমাদের এখানকার আর দশজন অভিনেত্রীর কাতারে ভাবলে সেটা হবে বোকামো ও ভুল। দেশ বা বিদেশ সবখানেই নিজের মর্যাদাকে কখনোই ভূলুণ্ঠিত হতে দেননি এই অভিনেত্রী। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারপ্রাপ্তিতে বরং আমরাই গর্বিত হয়েছি। তাই তাকে কিছু প্রস্তাব দেওয়ার আগে অনেক কিছু ভাবা উচিৎ; সম্মানের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ।