সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এম এ মান্নানের অনুপস্থিতিতে আদালতে বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে এ আদেশ দেন বিচারক।
মামলার পক্ষে-বিপক্ষে বিপুল সংখ্যক আইনজীবীর উপস্থিতিতে জামিন আবেদন ও নামঞ্জুরের শুনানি হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক জানান, সুনামগঞ্জের সাধারণ ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এম এ মান্নান। তার পরিকল্পনায় দেশে ও সুনামগঞ্জে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সেখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে সরকার। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে, এম এ মান্নানের জামিন শুনানির খবরে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন তারা। এসময় তারা মামলায় জড়িত সবার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থী ইমন উদ্দোজা আহমেদ জানান, আদালত এম এ মান্নানের জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা খুশি। আমরা চাই পুলিশ যাতে তার রিমান্ড চায়। এই মামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাসা থেকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় আনা হয়। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।