ভোলার চরফ্যাশনে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গ্রাহকের গরু নিয়ে আসেন এক এনজিও কর্মী। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ওই এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ আইচায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত হাসিনা বেগমকে এবার বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের ওই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী দৌলতপুর গ্রামের কাঞ্চন মিস্ত্রির স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ আইচা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেই। সেই টাকা সপ্তাহে ২৫০০ টাকা করে ১৩টি কিস্তি দিয়েছি। হঠাৎ দেশের চলমান পরিস্থিতি কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় ওই এনজিওর মাঠকর্মী হাসিনা ও ম্যানেজার মো. শামীম আমার বাড়িতে এসে আমার গরু ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, গরুটি নিতে তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা কোনো কথা শুনেনি। আমি ক্ষেতখামারে কাজ করে সংসার চালাই। আমি তাদেরকে বলছি, সমিতির টাকা পরিশোধ করব তাও শুনল না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, এনজিওর টাকা দিতে না পারায় গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ছিনিয়ে নেওয়া অমানবিক কাজ করেছে এনজিওর লোকজন। আইনিভাবে এটা করতে পারে না। এনজিওটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সংস্থার মাঠকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কয়েকটি কিস্তি চালিয়েছে কুলসুম বেগম। এরপর ঋণ খেলাপি করছেন তিনি। সেই টাকার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও পরিশোধ না করায় তার একটি গরু নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার দক্ষিণ আইচা শাখার ম্যানেজার মো. শামিম হোসেন জানান, ‘কিস্তির টাকা চাইতে গেলে ওই গ্রাহক মাঠকর্মী হাসিনা বেগমের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাই হয়তো ক্ষোভে গ্রাহকের গরু নিয়ে আসেন। তবে ওই গ্রাহককে তার গরু ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সংস্থা থেকে হাসিনা বেগমকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’