খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কর্তৃক স্থানীয় বাঙালিদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ৫ শতাংশ কোটা দেওয়া হয়েছে। সরকারের সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা। অথচ তারাই দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ সময় তারা কুকি-চিনসহ পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সকল সংগঠনকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। স্বাধীনতা সময় বেশি অবদান রাখছিল পাহাড়ের বাঙালিরা। কিন্তু সেই বাঙালিরা এখন নির্যাতিত। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ তারাই দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করছি, পাহাড়ে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করতে হবে। গত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পাহাড়ের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। কুকি-চিনসহ যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইালাম বলেন, আমাদের পাহাড় নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কিছু লোক কাজ করছে। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আমাদের অনেক বাঙালিকে নির্যাতন করেছে। তারা বাঙালিদের সেটলার (বসতি স্থাপনকারী) বলে ঘোষণা দিচ্ছে। আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত খারাপ মন্তব্য করছে। আমাদের দেহে এক বিন্দু পরিমাণ রক্ত থাকতে এই পাহাড়কে কখনো বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দিব না। আমরা এই মানববন্ধন থেকে এর প্রতিবাদ জানায়।