কানপুরে পা রাখার আগেই খবরটা ছিল চমকে যাওয়ার মতো। ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ঘিরে ধর্মঘট ডেকে বসে স্থানীয় সংগঠন হিন্দু মহাসভা। যদিও ম্যাচের এখনো দুদিন বাকি; তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চারপাশে ঘিরে রেখেছেন তারা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই কানপুর গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামের আশপাশে সরেজমিন ঘুরে দেখেছে কালবেলা। তেমন কোনো বিক্ষোভ দেখা যায়নি। তারপরও প্রতিটি গেটে গেটে ছিল পুলিশের সতর্ক অবস্থান। কার্ড থাকার পরও বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট পেরিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন মাঠকর্মী থেকে শুরু করে সংবাদকর্মীরাও।
গ্রিনপার্কের ড্রেসিংরুমের পাশের কয়েক’শ নিরাপত্তাকর্মী দেখা গেছে। মাঠে বেশ কয়েকবার পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও সরব উপস্থিতি দেখা মেলে। নিরাপত্তাবাহীনীর সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছিলেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব। পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ শেষে তিনি জানিয়েছেন, তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছেন তারা।
রাজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘এখানে তিন ধরণের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন যেটি মাঠ, পিচ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি দুটি ধরণের মাধ্যমে প্যাভিলিয়নসহ স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ আশাপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর্ডনই তিন-চারটি ভাগে বিভক্ত। কাজ করছে ১ হাজার পুলিশ ক্যামেরা রয়েছে একশর মতো।’
টেস্ট ম্যাচ ঘিরে হুমকি থাকলেও পুলিশ খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়৷ প্রচুর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকায় কোনো সমস্যাও দেখছেন না পুলিশের এই কর্মকর্তা, ‘হুমকি নিয়ে অনেক ধরণের তথ্য আছে। এগুলো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ডে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর ফাঁকি দিয়ে বের হওয়া অসম্ভব। তাই বলতে পারি কোনো উদ্বেগ নেই।’