মাছচাষি আর হাঁসচাষিদের জন্য সুখবর দিয়েছেন মৎস কর্মকর্তারা। মাছের খামারে ফিড না দিয়ে শামুক খাওয়ালে কমছে অর্ধেক খরচ। সে সঙ্গে হাঁস আর মাছের জন্য এটি উত্তম খাবার। শামুক খেলে হাঁসের ওজন বাড়ার পাশাপাশি ডিমও দেয় বেশি।
শামুক বাণিজ্য ঘিরে চলনবিল এলাকায় প্রতিদিন বসছে শামুকের হাট। এ হাট বেকারদের নতুন কর্মসংস্থান হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। খাল-বিলে মাছ কমে যাওয়ায় কিছু এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শামুকের হাট।
শামুককে ঘিরে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাকড়শোন এলাকায় ভাসমান শামুক হাট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হাটে শামুক কিনতে আসেন দেশের বিভিন্ন জেলার হাঁস ও মাছচাষিরা।
এ বিষয়ে একজন শামুক বিক্রেতা জানান, সন্ধ্যায় দলবদ্ধভাবে তারা বিলে যান। সেখানে সারা রাত শামুক ধরেন। সকালে স্থানীয় বাজারে উঠালে সারা দেশ থেকে মানুষ এসে শামুক কিনে নিয়ে যায়। সারা রাত জাল ফেলে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ বস্তা শামুক ধরা পড়ে। সেগুলো বাজারে বিক্রি করে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা ইনকাম করে থাকেন।
পাইকাররা বলেন, শামুক খাওয়ালে হাঁস দ্রুত বড় হয়। ডিমও দেয় বেশি। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটলে তা হয় সুস্থ্ ও হৃষ্টপুষ্ট। এ জন্যই হাঁস খামারিদের কাছে শামুকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, শামুকের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। হাঁস বা মাছকে শামুক খাওয়ালে কোনো ক্ষতি হয় না। শামুক নিয়ে সরকারিভাবে একটি পরিকল্পনার কথাও ভাবছেন স্থানীয় মৎস কর্মকর্তারা।
তাছাড়া তিনি আরও বলেন, চলন বিলে প্রতি বছর পর্যাপ্ত শামুক উৎপাদন হয়। শামুকের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, একই সঙ্গে হাঁসের খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া শামুক মাটির ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম বাড়ায়, যা জমির উর্বরতা বাড়ানোর কাজ করে।