লক্ষ্মীপুর আদালতে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়েছিলেন অস্ত্র মামলার আসামি আতিকুর রহমান আজাদ। এ ঘটনার ৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার মান্দারী বাজারে আজাদের বড় ভাইয়ের বাসার খাটের নিচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তারের পর চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার আজাদ সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, আজাদ তিনটি অস্ত্র মামলার আসামি। ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান আজাদ। এরপর থেকে প্রায় ৮ বছর ৮ মাস পলাতক ছিলেন তিনি। তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তখন আদালতের দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুর উদ্দিন ও কনস্টেবল নুরুল আহসানকে ক্লোজড করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি আজাদকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার ভাইয়ের বাসায় খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি আজাদকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।