ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন মো. শাহাবুদ্দিন। দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে কাজের প্রয়োজনে ঢাকায় থাকেন তিনি। ইচ্ছে ছিল বড় আকারের ইলিশ দিয়ে পরিবার নিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়ার। তবে সে ইচ্ছে যেন তার কাছে বিলাসিতা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারে এসে বড় আকারের ইলিশের দাম শুনে মুখ মলিন হয়েছে চল্লিশোর্ধ্ব এই ব্যক্তির।
নগরীর গাবতলী এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘বড় ইলিশের টেষ্টই আলাদা। গ্রামে থাকতে তো খাইতাম। পোলাপানরে বড় ইলিশ খাওয়ানোর শখ আছিল। কিন্তু পারতাছি না। শখের কেজি ১৬০০ টাকা!’
শাহাবুদ্দিন জানান, ৬০০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন তিনি। শুধু এক কেজি আকারের একটা ইলিশ কিনতে তার তিন দিনের আয় একত্রে খরচ করতে হবে।
কেননা বাজারে এক কেজি আকারের একেকটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। এক কেজির বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা।
এর চাইতে বড় আকারের ইলিশের দেখা মিলছে খুবই কম। দামও বেশ চড়া। দেড় কেজি আকারের ইলিশ বাজারে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা কেজি দরে।
বড় আকারের ইলিশ কিনতে না পেরে শাহাবুদ্দিনের মতো অনেকেই ছোট আকারের ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
এক্ষেত্রে দেড়শো গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য ক্রেতাদকে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। এক কেজিতে ৩ টা ইলিশ নিতে হলে ক্রেতাকে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৮০০ টাকা। আধা কেজি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার টাকা।
বিক্রেতাদের মতে, ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ইলিশের খদ্দের তুলনামূলক কম আয়ের মানুষ। এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও এই আকারের ইলিশ কিনছেন।