মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক কয়েকটি সিদ্ধান্তের কারণে তীব্র ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশেষ করে, যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিককালে সহিংস দাঙ্গা এবং সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা তাকে ক্ষুব্ধ করেছে। এই পরিস্থিতিতে, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য একটি সরকারি বিনিয়োগ সম্মেলনে মাস্ককে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনা তাঁর ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে।
মাস্কের মতে, যুক্তরাজ্য সরকার সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং শিশু নির্যাতনকারীদের ছাড়িয়ে দিয়ে আইনের শাসনকে দুর্বল করেছে। তাই তিনি মনে করেন, কারোরই যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করা উচিত নয়।
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
- কারাগার থেকে কয়েদী মুক্তি: যুক্তরাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের পেছনে কারাগারে অতিরিক্ত কয়েদীর চাপ কমিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল। তবে, মাস্কের মতে, এই উদ্যোগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
- সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশ: যুক্তরাজ্যে দাঙ্গার সময় মাস্কের এক্স-এ করা পোস্টগুলো সরকারের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল। মাস্কের মতে, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে যুক্তরাজ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।
- আইনের শাসন: মাস্কের অভিযোগ, যুক্তরাজ্য সরকার শিশু নির্যাতনকারীদের ছাড়িয়ে দিয়ে আইনের শাসনকে দুর্বল করেছে।
- দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: মাস্কের এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
মাস্ককে সর্বশেষ লন্ডনে দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে, যখন তিনি এআই সুরক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে মাস্কের একটি সাক্ষাৎকারও নিতে দেখা যায়।