দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেম ও ৬ বছরের সংসারের পর বিচ্ছেদ হওয়ায় অবশেষে দুধ দিয়ে গোসল করে শুদ্ধ হলেন রুদ্রনগরের সবুজ মিয়া। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সবুজ নিজের অতীত ভুল ছিল মনে করে দেড় মন দুধ দিয়ে গোসল করেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেম করে মা-বাবাকে না জানিয়ে গত ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন রুদ্রনগর গ্রামের মো. মিন্টু মিয়ার ছেলে মো. সবুজ মিয়া বিয়ে করেন নিজ পছন্দের পাত্রীকে। বিয়ের শুরুতে বেশ সুখে-শান্তিতে থাকলেও বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সবুজের বাবা-মাযের কাছ থেকে আলাদা হতে হবে বলে জানায় তার স্ত্রী। সংসারের সাড়ে চার বছরের মাথায় নিজেদের আলাদা হওয়া নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব ও অশান্তি। পরিশেষে তার দেড় বছর পর রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীর দেওয়া তালাকনামা হাতে আসে সবুজের কাছে।
সবুজ মিয়া কালবেলাকে বলেন, স্ত্রীর অশান্তির কারণে আমি তাকে নিয়ে ঢাকা চলে যাই। ঢাকাতে প্রায় সাড়ে ৪ বছর বেশ ভালোই ছিলাম। তারপর আবার গ্রামের বাসায় ফিরে আসি আমরা। গ্রামের বাসায় আসার পর থেকে আবার শুরু হয় অশান্তি। আমাকে মানসিকভাবে বেশ অশান্তি দিতে শুরু করে আমার স্ত্রী। কিন্তু আমি আমাদের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক সহ্য করে তাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। তার সব চাওয়া-পাওয়া আমি পূরণ করেছি সব সময়। কিন্তু আমার স্ত্রী সবসময় আমাকে মানসিক অশান্তির মধ্যে রাখতো।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) আমাদের ডিভোর্স হয়। যার কারণে আজ (সোমবার) আমি দুধ দিয়ে গোসল করে ঘরে উঠলাম। আজ আমি খুব খুশি এবং পাপ মুক্ত হলাম। কারণ দীর্ঘ দেড় বছর আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমাকেসহ আমার পরিবারকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে তার এই দুধ দিয়ে গোসল করার খবর শুনে গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ সেখানে দেখতে ভিড় জমান।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, সবুজ মিয়া প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বউ নিয়ে সে এ পর্যন্ত তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে সংসার করতে কোনোভাবেই তার বউকে রাজি করাতে পারেনি। দীর্ঘদিন যাবৎ সে মানসিক অশান্তির পর প্রায় দেড় বছর মামলা চালিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। রোববার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আজ সে দুধ দিয়ে গোসল করছে বলে আমরা দেখতে আসলাম।